রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে? আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে এই জানতে বর্তমানে অনেকেই গুগল সার্চ করে থাকেন। প্রিয় পাঠক রাস্ট্রবিজ্ঞান হচ্ছে সামাজিক বিজ্ঞানের একটি অংশ, যেখানে রাস্ট্র, সরকার ও রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

তবে মূল বিজ্ঞানের তুলনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিধি বেশি বড় না। কেননা কোন একজন ব্যক্তির ব্যক্তি জীবন, পরিবার, সমাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল বিষয় তথ্য নিয়ে গঠিত হয়ে থাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করলে অবশ্যই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক সম্পর্কে এই বিষয়ে জানা জরুরি হয়ে পড়ে। 

কেননা বর্তমানে কোন বিষয়ে কে প্রথম কথা বলেছেন এবং তার কথা বলার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সকলেই জানতে চান। 

আশা করি আপনিও জানতে চাচ্ছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে লোকের পরিচয় দিয়েছেন। 

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনকের নাম কি?

মূলত যে বিজ্ঞান রাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলি ও জনগনের অধিকার নিয়ে আলোচনা করে তাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বলে।

এছাড়াও সহজ করে বললে রাষ্ট্র বিজ্ঞান সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখাবিশেষ, যেখানে রাষ্ট্র সরকার এবং রাজনীতি সম্পর্কীয় বিষয়াবলী নিয়ে আলোকপাত করা হয়।

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হচ্ছেন নিকোলো মেকিয়াভেলী। রাষ্ট্র সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তথ্য উত্থাপন কারা ও প্রথম আলোচনা করে রাষ্ট্র সম্পর্কে উত্থাপিত সকল সমস্যার সমাধানের জন্য এরিস্টটলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলা হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে নিকোলো মেকিয়াভেলী
আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে নিকোলো মেকিয়াভেলী
রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনকের নাম কি?

আরও পড়ুনঃ

Online shopping BD list

বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক কে?

ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রকৃতি বা স্বরূপ

সামাজিক বিজ্ঞানে অন্যতম শাখা হিসেবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রকৃতি বা স্বরূপ সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যাবশ্যক। 

সুদূর গ্রিসের রাষ্ট্রচিন্তা তথা ‘Western Political Thought’ থেকে বর্তমানে ‘Modern Political Thought’ পর্যন্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রব্যবস্থা ও তার সাথে সম্পর্কিত বিষয়। 

যে কারণে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অস্তিত্ব ও সক্রিয়তা ছাড়া সামাজিক বিজ্ঞানের অন্য কোন শাখাই পরিপুষ্ট ও বিকাশলাভ করতে পার না। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রকৃতি হচ্ছে সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়। 

সঠিকভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ধাপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে আপনাকে এবং পড়তে হবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত বই।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রকৃতি ও পরিধি কি কি?

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রকৃতি অনেক বিস্তৃত আমরা আপনাদের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল কিছু নীতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে এখানে নোট ডাউন করেছি।

১. সরকারের আলোচনা

২. রাজনৈতিক তত্ত্ব

৩. ক্ষমতা কেন্দ্রিক আলোচনা

৫. আন্তর্জাতিক বিষয় আলোচনা

৬. আইনের আলোচনা

৭. তুলনামূলক রাজনীতির আলোচনা

৮. নৈতিকতার আলোচনা

৯. মানুষের রাজনৈতিক জীবন

১০. পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা

১১. রাজনৈতিক আচরণের আলোচনা

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিধি বা বিষয়বস্তু:

১. রাষ্ট্র

২. সমাজ.

৩. সরকার

৪. নৈতিকতা

৫. ক্ষমতা

৬. রাজনৈতিক দল.

৭. চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী

৮. আইন

৯. জনমত

১০. সংবিধান

১১. সার্বভৌমিকতা

১২. অধিকার।

আশা করি আপনি আমাদের পরিবারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এই বিষয়ে অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।

সময়ের অভাবে আমরা আপনাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে সঠিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে পারলাম না বলে দুঃখিত।

তবে পরবর্তী যেকোনো সময় আমরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সম্পূর্ণ বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত আলোচনা করে জানাবো। 

আরও পড়ুনঃ

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি

ফাইজার কোন দেশের টিকা

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে FAQS

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে?

আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হচ্ছেন নিকোলো মেকিয়াভেলী।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনকের নাম কি?

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনকের নাম হচ্ছে নিকোলো মেকিয়াভেলী।

উপসংহার

আশা করি আপনি আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছেন। 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক সম্পর্কে আরও তথ্য পেতে আপনাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই পড়ার অনুরোধ করছি।

মোবাইল ব্যাংকিং অফার জানতে ও ইন্টারনেট থেকে টিপস এন্ড ট্রিক্স পেতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।

এবং জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। 

Leave a Comment

10 − five =

%d bloggers like this: