প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই নতুন আর্টিকেলে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে এবং কিভাবে আপনি খুব সহজে মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবেন সে সকল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে।
এবং মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে আপনারা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে জানতে পারবেন। তাই শেষ পর্যন্ত আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। মেডিকেলে ভর্তি হবার স্বপ্ন প্রায় বাংলাদেশের ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী দেখে। ছোটবেলায় যখন কাউকে প্রশ্ন করা হতো তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও, তখন তো তার জবাবে উত্তর আসত আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই।
তবে সময়ের সাথে সাথে সেসকল মত এবং বিষয়গুলো আমাদের মাঝে থেকে হারিয়ে যায়। তবে কারো কারো এবিষয়টি তখন থেকেই ঠিক হয়ে যায় যে তারা ডাক্তারি হবে। তাহলে চলুন মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলো জেনে নেয়া যাক।
Content Summary
- 1 মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে ২০২৩ – Medical A Koto Point Lage
- 2 ডাক্তারি পড়তে কত পয়েন্ট লাগবে – Medical Admission Point BD
- 2.1 মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য বায়োলজি তে কত পয়েন্ট থাকতে হয়
- 2.2 সেকেন্ড টাইম মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে
- 2.3 মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ থেকে কিভাবে পয়েন্ট হিসাব করা হয়?
- 2.4 মেডিকেলে চান্স পেতে কত পয়েন্ট লাগবে
- 2.5 মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু কথা
- 2.6 মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে 2023 FAQS
- 2.7 উপসংহার
- 2.8 Share this:
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে ২০২৩ – Medical A Koto Point Lage
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য ২০২১-২২ এর শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বমোট অর্থাৎ এসএসসি এবং এইচএসসি দুই পরীক্ষা মিলে সর্বনিম্ন ৯.০০ পেতে হবে। আপনার পয়েন্ট যদি এর নিচে হয় তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন সকল উপজাতীয় এবং পার্বত্য জেলার উপজাতীয়দের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৮.০০ পেতে হবে।
ডাক্তারি পড়তে কত পয়েন্ট লাগবে – Medical Admission Point BD
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হলে আপনাকে (এসএসসি+ এইচএসসি) উভয় পরীক্ষা মিলে মোট 9.00 লাগবে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি এইচএসসি পরীক্ষায় GPA 5 এবং এসএসসি 4 তবেও আপনি ডাক্তারি করতে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবেন।
তবে
আরও পড়ুনঃ
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা
সাংবাদিক হওয়ার যোগ্যতা ও গুণাবলি কি কি?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট দেখার নিয়ম
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য বায়োলজি তে কত পয়েন্ট থাকতে হয়
আপনি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য আপনার বায়োলজি সাবজেক্ট এ সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হবে।
এই একই পদ্ধতি উপজাতীয়দের ক্ষেত্রও প্রযোজ্য। উপজাতীয় এবং পার্বত্য জেলার শিক্ষার্থীদের জন্য বায়োলজিতে ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হবে। অন্যথায় আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
এখন প্রশ্ন হলো বিদেশে অবস্থানরত যে সকল বাংলাদেশী নাগরিক শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের জন্য কি আলাদা কোন নিয়ম রয়েছে?
এক কথায় উত্তর হলো না, একজন শিক্ষার্থী বাংলাদেশের অবস্থান করো কিংবা বাংলাদেশের বাহিরে সবার জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য।
সেকেন্ড টাইম মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে
প্রথম পর্যায়ে যদি আপনি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স না পান তবে সেকেন্ড টাইম মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন জিপিএ ৯.০০ পয়েন্ট অর্থাৎ সেই আগের পয়েন্ট লাগবে।
আবার উপজাতীয় বা পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে আগের পয়েন্ট ৮.০০ লাগবে।
এখন আপনাদের অনেকেরই সেকেন্ড টাইম পরীক্ষায় কত মার্ক কাটা হয় এ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সেক্ষেত্রে উত্তর হচ্ছে সেকেন্ড টাইম মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৫ মার্কস কাটা হয়। তবে কেউ যদি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়েও আবার সেকেন্ড টাইম কোন সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হবার জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সেক্ষেত্রে ৭.৫ পয়েন্ট কাটা হবে।
এবার পরবর্তী প্রশ্ন হচ্ছে সর্বমোট কত নম্বরে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে?
মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা সর্বমোট ১০০ নম্বরের হয়ে থাকে।
তবে এইচএসসি ও এসএসসি এর জিপিএ থেকে ২০০ মার্কস নেওয়া হয়। অর্থাৎ সর্বমোট ৩০০ নম্বরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুনঃ
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ থেকে কিভাবে পয়েন্ট হিসাব করা হয়?
মেডিকেলে জিপিএ হিসাব কিভাবে করে চলুন জেনে নেয়া যাক।
আপনার এইচএসসি জিপিএ পয়েন্ট কে ২৫ দিয়ে গুন করুন এবং এসএসসি পয়েন্ট কে ১৫ দিয়ে গুন করুন।
তারপর দুই গুনফল যোগ করলেই আপনার পয়েন্ট থেকে স্কোর জানতে পারবেন।
উদাহরণঃ একজন এসএসসি তে জিপিএ ৫.০০ ও এইচএসসি তে জিপিএ ৫.০০ পায় তাহলে তার স্কোর কত হবে?
চলুন হিসেব করে ফেলি-
এসএসসি জিপিএর ক্ষেত্রে- ৫*১৫=৭৫
এইচএসসির ক্ষেত্রে –
৫*২৫ = ১২৫
উভয় ক্ষেত্রে যোগ করে(৭৫+১২৫=২০০) মোট ২০০ নম্বর হয়। অর্থাৎ জিপিএ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ নম্বর পেতে পারো।
মেডিকেলে চান্স পেতে কত পয়েন্ট লাগবে
মেডিকেলে চান্স পেতে কত পয়েন্ট লাগবে বা সরকারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে এ সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান।
আপনি যে কোন মেডিকেলে চান্স পেতে কত পয়েন্ট লাগবে এবিষয়টি বলা খুবই কঠিন তবে মিনিমাম তো আপনার আবেদন করার জন্য মোট জিপিএ ৯.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে।
কিন্তু আপনার যদি ১০.০০ পয়েন্ট না থাকে তাহলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কমে আসবে।
জিপিএ থেকে ২০০ নম্বর এবং ১০০ নম্বর লিখিত পরীক্ষা, মোটেই ৩০০ নম্বরের মধ্যে ফলাফল তৈরি হয়।
কেউ যদি গড়ে ২৭০ নাম্বার পায় তাহলে সে এখানে চান্স পাওয়ার আশা রাখতে পারে।
তবে একেক বছরে একেক রকম নিয়মে পরীক্ষাগুলো হয়ে থাকে।
ঢাকা মেডিকেলে চান্স পাওয়ার জন্য আপনাকে ২৮৫-২৯৫ নম্বরের মধ্যে থাকলে আপনি চান্স পাওয়ার আশা রাখতে পারবেন।
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু কথা
আপনার যদি জীবনের লক্ষ্য মেডিকেলে ভর্তি হওয়া হয় তাহলে আপনি আপনার সর্বোচ্চ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।
আপনাকে মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তবে এ ভর্তি হতে হবে।
দেশে প্রায় ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকে।
অর্থাৎ লাখো শিক্ষার্থীদের মাঝে আপনাকে ৩-৪ হাজার স্টুডেন্ট এর মাঝে থাকতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন বিষয়টা কতটা কঠিন।
তবে কঠিনকে জয় করাই মানুষের কাজ, বাংলাদেশের বেসরকারি ও সরকারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৯ পয়েন্ট লাগবে, তাই ধৈর্য ধরে পড়ালেখা করতে থাকুন এবং নিজের ভবিষ্যৎ গড়ুন।
তবে আপনার ক্যারিয়ার যদি আপনি সুন্দর ভাবে তৈরি করতে চান তাহলে আপনার জন্য অন্যান্য পেশা মোটেই খারাপ নয়।
আরও পড়ুনঃ
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে 2023 FAQS
ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য ২০২১-২২ এর শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বমোট অর্থাৎ এসএসসি এবং এইচএসসি দুই পরীক্ষা মিলে সর্বনিম্ন ৯.০০ পেতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন সকল উপজাতীয় এবং পার্বত্য জেলার উপজাতীয়দের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৮.০০ পেতে হবে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা দিতে জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে ৩.৫০ পয়েন্ট লাগবে।
জীববিজ্ঞান যদি চতুর্থ বিষয় হয়, অবশ্যই পরীক্ষা দেয়া যাবে।
এস এস সি / দাখিলে যদি জীববিজ্ঞান না থাকে পরীক্ষা দিতে পারবে।
ভর্তি পরীক্ষায় গোল্ডেল A+ এবং সাধারণ A+ এর মধ্যে মার্কের কোন পার্থক্য নেই। উভয়েরই মার্ক ১০০।
মোট ১০০ ( ssc*8 + hsc*12= 100)
জীববিজ্ঞান-৩০, রসায়ন-২৫, পদার্থ-২০, ইংরেজি-১৫, সাধারণ জ্ঞান-১০।
জ্বী নেগেটিভ মার্ক আছে। প্রতি ভূল উত্তরের জন্য ০.২৫।
যদি এক বছর গ্যাপ থাকে তবে পরীক্ষা দেয়া যাবে। বেশী হলে পরীক্ষা দেয়া যাবে না।
এখন পর্যন্ত দুইবার। কারো এসএসসি পরীক্ষা যদি ২০১৩ তে এবং এইচএসসি ২০১৫ হয় তাহলে সে ২০১৫ এবং ২০১৬ তে এডমিশন টেস্ট দিতে পারবে।
না, মেডিকেল ও ডেন্টালের পরীক্ষা এক সাথেই হয়।
সরকারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৯ পয়েন্ট লাগবে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে এবং মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত নানা তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে গেছেন।
বাংলাদেশ সরকারি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য কত পয়েন্ট লাগবে এবং আপনাদের সকল ধরনের প্রশ্নের উত্তর সমাধান আমরা দিতে পেরেছি।
Medical admission er jonno koto point lage এবং বাংলাদেশের কোন মেডিকেলে কত পয়েন্ট হলে আপনি খুব সহজে ভর্তি হতে পারবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো।
আপনাদের যদি এ বিষয়ে আর কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আরও পড়ুনঃ
Bkash Merchant Reporting Portal
আমরা আপনাদের কমেন্টের উত্তর প্রদান করার জন্য সকল সময় প্রস্তুত রয়েছি।
আমাদের ওয়েবসাইটে আরো নানান ধরনের শিক্ষামূলক আর্টিকেলগুলো রয়েছে আপনারা চাইলে সেগুলো পড়তে পারেন।
আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কে সকল আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে ফলো করুন।
ধন্যবাদ।
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন ।
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে।
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।