বীর উত্তম কতজন ২০২৩ | বীর উত্তম উপাধী কেন দেয়া হয়েছিল

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বীর উত্তম কতজন ও বীর উত্তম উপাধী কেন দেয়া হয়েছিল এই সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অব্দানের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ৪টি বীরত্বসূচক পদকে ভূষিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো বীর শ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীর বিক্রম ও বীর প্রতীক।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের চার ধরনের খেতাব প্রদান করে। এদের মধ্যে জীবিতদের জন্য সর্বোচ্চ খেতাব ছিল বীর উত্তম। 

বীর উত্তম কতজন এই প্রশ্নটি অনেকেই গুগলে সার্চ করে থাকেন। বীর উত্তম কতজন? এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর ও ব্যাখ্যা জানতে আর্টিকেল টি শেষ পর্যন্ত পড়ুন। বীরত্বসূচক অবদানের জন্য ২য় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার হলো বীর উত্তম।

বর্তমানে বীর উত্তম কতজন ২০২৩ – বীর উত্তম উপাধী কেন দেয়া হয়েছিল

বীর উত্তম কতজন ২০২৩
বীর উত্তম কতজন ২০২৩

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মোট ৬৭ জনকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। সর্বশেষ বীর-উত্তম পদক পেয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ (২০১০) মরণোত্তর। বর্তমানে মোট বীর-উত্তমের সংখ্যা ৬৯ জন।

বীরত্বসূচক খেতাব গুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসিকতা প্রদর্শন ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বিশেষ সম্মাননা খেতাব।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা প্রদান করে হয়।

তাদের মধ্যে আত্মত্যাগের প্রেরণা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই বীরত্বসূচক খেতাব প্রদানের একটি প্রস্তাব করেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম. এ. জি. ওসমানী। মে মাসের প্রথমদিকে মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদে তিনি এই প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

১৬ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বীরত্বসূচক ৪টি খেতাবের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এ পরিকল্পনা অনুসারে শুরুতে চার পর্যায়ের খেতাব প্রদানের বিধান ছিল।

  • সর্বোচ্চ পদ বা বীর শ্রেষ্ঠ।
  • উচ্চ পদ বা বীর উত্তম।
  • প্রশংসনীয় পদ বা বীর বিক্রম।
  • বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্র বা বীর প্রতীক। 

উচ্চ পদকে মূলত বীর উত্তম পদ বোঝানো হয়েছে। খেতাব পাওয়ার জন্য মর্যাদার ক্রমানুসারে নিম্নের যোগ্যতা গুলো অর্জন করতে হতো — 

  • সর্বোচ্চ পদ বা বীর শ্রেষ্ঠ অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি যারা হয়েছেন বা যারা মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বীরত্বপূর্ণ কাজ করেছেন তাদের জন্য এই বিশেষ সম্মাননা। যে কাজ না করলে শত্রু পুরো দেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারত। সুতরাং ঐ বীরত্বপূর্ণ কাজের ফলে শত্রুর ব্যাপক ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে যুদ্ধের গতি প্রকৃতিকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।
  • উচ্চ পদ বা বীর বিক্রম পদবির জন্য পূর্ব বর্ণিত খেতাবের মত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে তবে তা অপেক্ষাকৃত কম মাত্রায়। বীর উত্তম কতজন ও এটি পাওয়ার যোগ্যতা ক্রমান্বয়ে আলোচনা করা হবে। 

বীর উত্তম খেতাব প্রদানের নিয়মাবলী

বাংলাদেশে সবথেকে বীরত্বসূচক খেতাব কোনটি
বাংলাদেশে সবথেকে বীরত্বসূচক খেতাব কোনটি

বীর উত্তম খেতাব প্রদানের ক্ষেত্রে বীরত্বপূর্ণ কাজের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সর্বোচ্চ পদের জন্য সর্বমোট তিনজন সাক্ষী, বীর উত্তম পদের জন্য দুই জন সাক্ষী, বীর বিক্রম পদের জন্য একজন সাক্ষীর প্রয়োজন হতো।

তবে বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্রের জন্য কোন সাক্ষীর প্রয়োজন হতো না।

বীরত্বসূচক খেতাবের সঙ্গে এককালীন আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হতো। সর্বোচ্চ পদের জন্য দশ হাজার টাকা (বর্তমানে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১ লক্ষ টাকা), বীর উত্তম পদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা (বর্তমানে ৫০ হাজার টাকা), বীর বিক্রম পদের জন্য ২ হাজার টাকা (বর্তমানে ২০ হাজার টাকা)।

বিদায় অনুষ্ঠানের বক্তব্য pdf 

বীরত্বসূচক প্রশংসাপত্রের জন্য কোনো আর্থিক পুরস্কারের বিধান ছিল না। বর্তমানে সেটির জন্য দশ হাজার টাকা প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। এখন নিয়মিত খেতাব প্রাপ্তদের মাসিক ভাতাও প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রদান করার সর্বচ্ছো খেতাব সমূহ

মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মোট 676 জন কে বীরত্ব সূচক উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

  • বীরশ্রেষ্ঠ (7),
  • বীরউত্তম (69),
  • বীর বিক্রম (175) এবং
  • বীর প্রতীক (426) জনকে খেতাব দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংঘাতের সময় দায়িত্ব পালনকালে বীরত্বের জন্য ৫ জনকে বীর উত্তম ও ২০ জনকে বীর বিক্রম আর ৮২ জনকে বীর প্রতীক খেতাব দেওয়া হয়।

আর ১৯৭৫ সালের 15 ই অগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা প্রতিরোধ করতে আসার পথে নিহত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলকে সে রাতের বীরত্বের জন্য ২০১০ সালে তাকে বীর উত্তম খেতাব দেওয়া হয়।

মনে রাখা জরুরি যে, মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য যাঁরা খেতাব পেয়েছেন তাঁদের খেতাবের পাশে কখনো সাল লিখতে হয় না। কিন্তু সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে কত সালে এই খেতাব পেয়েছেন সেই সাল লিখতে হয়।

আরো মনে রাখবেন যে, এই বীরত্ব সূচক উপাধি আর কাউকে দেওয়া হবে না। এখন থেকে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য নিচের খেতাবগুলো দেওয়া হবে।

১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হওয়া বীর উত্তম কতজন পরিসংখ্যানটি বেশ কয়েকবের সংশধিত হয়েছে।

বীর-উত্তম খেতাবটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য প্রথমে ৬৭ জনকে এই উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।

তারপর সর্বশেষ বীর-উত্তম পদক পেয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ (২০১০) মরণোত্তর সহ মোট বীর-উত্তম ৬৯ জন।

বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের আগস্টে বাঁচানোর চেষ্টার জন্য তাকে ২০১০ সালে এই মরণোত্তর বীর-উত্তম পদকে ভূষিত করে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুনঃ

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের উদ্দেশ্য কি?

বঙ্গবন্ধুর জীবনী সাধারণ জ্ঞান

মুক্তিযোদ্ধাদের জতীয় পরিসংখ্যান

বীর উত্তম কতজন 2023 ও খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিসংখ্যান ( সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ,বিজিবি,পুলিশ ও গণবাহিনী )

উপাধিসেনা-বাহিনীনৌ-বাহিনীবিমান-বাহিনীবিজিবিপুলিশগণবাহিনীমোট
বীরশ্রেষ্ঠ০৩০১০১০২০৭
বীর উত্তম৪০০৫০৬০৮০৯৬৮
বীর বিক্রম৮৯০৮০১৩২০২৪৩১৭৫
বীর প্রতীক১৫৯০৭১৫৭৬০৩১৬৬৪২৬
মোট২৯১২১২৩১১৮০৫২১৮৬৭৬

আমরা বীর উত্তম কতজন আর্টিকেলের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। এবার জেনে নেব বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত কয়েকজন ব্যক্তিবর্গের নাম –

আব্দুর রব ( মেজর জেনারেল ) 
কাজি মুহাম্মদ শফিউল্লা ( অধিনায়ক, এস. ফোর্স) 
জিয়াউর রহমান ( অধিনায়ক, জেড. ফোর্স )
চিত্ত রঞ্জন দত্ত ( সেক্টর অধিনায়ক-৪ )
কাজী নুরুজ্জামান (সেক্টর অধিনায়ক-৭)
  মীর শওকত আলী (সেক্টর অধিনায়ক-৫)
খালেদ মোশারফ ( অধিনায়ক, কে. ফোর্স )
মোহাম্মদ আবুল ( সেক্টর অধিনায়ক-৮ ) 
মোহাম্মদ আবু তাহের (সেক্টর অধিনায়ক-১১)
এ, এন, এন, নুরুজ্জামান ( সেক্টর অধিনায়ক-৩ )
বীর উত্তম কতজন 2023
বীর উত্তম কতজন?

স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য বীর উত্তম উপাধী প্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধার সংখ্যা ৮ জন।

বীর উত্তম উপাধী কেন দেয়া হয়েছিল?

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের চার ধরনের খেতাব প্রদান করে। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের পুরষ্কার সরূপ, এদের মধ্যে জীবিতদের জন্য সর্বোচ্চ খেতাব ছিল বীর উত্তম।

আরও পড়ুনঃ

১০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২৩ বাংলাদেশ

বক্তব্য কিভাবে শুরু করবেন | বক্তব্য শুরুতে কি বলতে হয়

শেষ কথা

আশা করছি আপনি বীর উত্তম কতজন ২০২৩ আরটিকেলটি শেষ পর্যন্ত পরেছেন।

যদি পরে থাকেন তাহলে আপনার অর্থাৎ বীর উত্তম কাদেরকে দেওয়া হয়েছিল এবং কেন দেওয়া হয়েছিল এই বিষয়ে আর কোনো সমস্যা থাকার কথা না। 

তারপরও যদি আপনার কোনো মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। 

সকল বিষয়ে নিত্য নতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট।

আমরা আপনাদেরকে আপনাদের সুবিধার্থে 

অনলাইন থেকে ঘরে বসে টাকা আয়, টেলিকম অফার, ইন্টারনেট অফার এবং ব্লগিং টিপস সহ নানান ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলগুলো প্রদান করে থাকি।

জয়েন করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। 

আরও পড়ুনঃ

ঘরে বসে মোবাইলে আয়

ইউটিউব থেকে আয় করার উপায়

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now
কমদামে মিনিট, ইন্টারনেট ও বান্ডেল অফার কিনতে ভিজিট করুনঃ এখানে ক্লিক করুন
ডিজিটাল টাচ ফেসবুক পেইজ লাইক করে সাথে থাকুনঃ এই পেজ ভিজিট করুন
ডিজিটাল টাচ সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইলে যোগাযোগ করুনঃ এই লিংকে
অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুনঃ www.digitaltuch.com সাইট ।

আমি একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বাংলা ভাষায় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম, টেলিকম অফার এবং মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানের জন্য এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে।